জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেলেন যারা
‘জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার-২০১৪’ পুরস্কার বিতরণ করলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে বুধবার বিকেল ৪টায় এই পুরস্কার প্রদান করা হয়। অনুষ্ঠানের শুরুতেই প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে আজীবন সম্মাননা পুরস্কার গ্রহণ করেন হাসান ইমাম ও রানী সরকার।
চলচ্চিত্র শিল্পের গৌরবোজ্জ্বল ও অসাধারণ অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে ২৬টি ক্যাটাগরিতে বিশিষ্ট শিল্পী ও কলাকুশলীকে এবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার দেয়া হয়।
গল্প চুরির অভিযোগে এ বছর সরকারি অনুদানে নির্মিত ‘বৃহন্নলা’ চলচ্চিত্রের পুরস্কার বাতিল হওয়ায় দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা মাসুদ পথিকের ‘নেক্কাবরের মহাপ্রয়াণ’ নির্বাচিত হয় সেরা চলচ্চিত্র।
সেরা কাহিনীকার হয়েছেন ‘মেঘমল্লা’র চলচ্চিত্রের জন্য আখতারুজ্জামান ইলিয়াস। তার মরণোত্তর পুরস্কারটি তুলে দেয়া হয় তার ভাইয়ের হাতে। একই ছবির জন্য সেরা চিত্রনাট্যকার ও সেরা পরিচালকের পুরস্কার পান জাহিদুর রহিম অঞ্জন।
‘এক কাপ চা’ চলচ্চিত্রে প্রধান চরিত্রে অভিনয়ের জন্য ফেরদৌস আহমেদ শ্রেষ্ঠ অভিনেতা ও যৌথভাবে শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রীর পুরস্কার পান ‘তাঁরকাটা’ চলচ্চিত্রের জন্য মৌসুমী ও ‘জোনাকির আলো’ চলচ্চিত্রের জন্য বিদ্যা সিনহা মিম।
এদিকে শ্রেষ্ঠ স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র ক্যাটাগরিতে সেরা হয়েছেন আশরাফ শিশির পরিচালিত চলচ্চিত্র ‘গাড়িওয়ালা’।
প্রথমবারের মতো জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছেন ব্যান্ড তারকা জেমস। ‘দেশা দ্য লিডার’ সিনেমায় ‘পতাকাটা খামচাতে কখনো আসে যদি’ গানের জন্য জেমস এই পুরস্কার পান। শ্রেষ্ঠ গায়িকার পুরস্কার পান (যৌথভাবে) রুনা লায়লা, (প্রিয়া তুমি সুখী হও, গান- কালা অসময়ে বাজাও বাঁশি) ও মমতাজ (নেকাব্বরের মহাপ্রয়াণ, গান-নিশিপক্ষী ও নিশিপক্ষীরে তোর.)। রুনা লায়লার অনুপস্থিতিতে এই পুরস্কার গ্রহণ করেছেন নায়ক আলমগীর।।
শ্রেষ্ঠ গীতিকারের পুরস্কার নিলেন মাসুদ পথিক (নেকাব্বরের মহাপ্রয়াণ, গান- নিশিপক্ষী ও নিশিপক্ষীরে তোর)। শ্রেষ্ঠ সুরকারের পুরস্কার নেন বেলাল খান (নেকাব্বরের মহাপ্রয়াণ, গান- নিশিপক্ষী ও নিশিপক্ষীরে তোর)। ‘নেকাব্বরের মহাপ্রয়াণ’ ছবির জন্য সেরা সংগীত পরিচালকের পুরস্কার নেন ড. সাইম রানা।
পার্শ্ব চরিত্রে শ্রেষ্ঠ অভিনেতার পুরস্কার নিয়েছেন ডা. এজাজ ইসলাম (তারকাঁটা), পার্শ্ব চরিত্রে শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী চিত্রলেখা গুহ (৭১ এর মা জননী), খল চরিত্রে শ্রেষ্ঠ অভিনেতা তারিক আনাম খান (দেশা দ্য লিডার), কৌতুক চরিত্রে শ্রেষ্ঠ অভিনেতা পুরস্কার পান। মিশা সওদাগর (অল্প অল্প প্রেমের গল্প)।
এ ছাড়া শ্রেষ্ঠ শিশুশিল্পী আবির হোসেন অংকন (বৈষম্য), শিশুশিল্পী শাখায় মারজান হোসাইন জারা (মেঘমল্লার) বিশেষ পুরস্কার পায়।
জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে দেয়া হয় আঠারো ক্যারেটের পনেরো গ্রাম সোনার একটি পদক, পদকের একটি রেপ্লিকা, একটি সম্মাননাপত্র। একই সঙ্গে ছিল অর্থ। জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারের ক্ষেত্রে আজীবন সম্মাননাপ্রাপ্তকে এক লাখ টাকা। শ্রেষ্ঠ পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র প্রযোজক ও শ্রেষ্ঠ স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র প্রযোজককে ৫০ হাজার টাকা করে দেয়া হয়। এ ছাড়া শ্রেষ্ঠ প্রামাণ্য চলচ্চিত্র প্রযোজক, শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র পরিচালককে ৫০ হাজার টাকা ও অন্যান্য ক্ষেত্রে ত্রিশ হাজার টাকা করে দেয়া হয়।
– See more at: http://bangla.newsnextbd.com/article237297.nnbd/#sthash.IgcgF25y.mPHEPLy8.dpuf