মীর কাসেমের আপিলের পুনঃশুনানি চান কামরুল

8c17e5526a0ddc8ca946d1fae1f43140-14

প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহাকে বাদ দিয়ে নতুন বেঞ্চ গঠন করে মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত যুদ্ধাপরাধী মীর কাসেম আলীর আপিলের পুনঃশুনানি দাবি করেছেন খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম।

জামায়াতে ইসলামীর এই নেতার আপিলের রায়ের নির্ধারিত দিনের দুদিন আগে শনিবার ঢাকায় ঘাতক-দালাল নির্মূল কমিটির এই আলোচনা সভায় বক্তব্যে এই দাবি করেন তিনি।

এই আপিলের শুনানিতে যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউশন দলের কাজ নিয়ে প্রধান বিচারপতির অসন্তোষ প্রকাশের মধ্য দিয়ে রায়ের ইঙ্গিত মিলছে বলে দাবি করেন সাবেক আইন প্রতিমন্ত্রী কামরুল।

তিনি বলেন, “এই মামলার রায় কী হবে, তা প্রধান বিচারপতির প্রকাশ্যে আদালতে বক্তব্যের মধ্য দিয়ে আমরা অনুধাবন করতে পেরেছি। তার বক্তব্যের মধ্যে এটা অনুধাবন করেছি, এই মামলায় আর মৃত্যুদণ্ডের রায় দেওয়ার কোনো সুযোগ নেই।”

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের রায়ে মৃত্যুদণ্ড হয়েছিল জামায়াতের অর্থ জোগানদাতা হিসেবে পরিচিত মীর কাসেমের। তাকে রক্ষার চেষ্টা চলছে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করে গণজাগরণ মঞ্চও আন্দোলনে রয়েছে।

কামরুল বলেন, “প্রধান বিচারপতি প্রকাশ্য আদালতে কী বললেন? প্রসিকিউশন এই মামলা নিয়ে রাজনীতি করছে। জামায়াত যে অভিযোগ করেছে, বিএনপি যে অভিযোগ করেছে, তাদের আন্তর্জাতিক লবিস্ট গ্রুপ যে সুরে কথা বলছে, একই সুরে কথা বলেছেন প্রধান বিচারপতি।

“প্রকারান্তরে রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে, সরকারের বিরুদ্ধে অভিযোগ করলেন তিনি। শুধু তাই নয়, এই বক্তব্যে ট্রাইব্যুনালের পাঁচ বছরের বিচারকে প্রশ্নবিদ্ধ ও হত্যা করা হয়েছে।

“আমি মনে করি, প্রধান বিচারপতিকে বাদ দিয়ে নতুন করে শুনানি হওয়া উচিত। প্রধান বিচারপতিকে বাদ দিয়ে একটি বেঞ্চ হোক, সেই বেঞ্চে আপিলের শুনানি হোক,” বলেন এই মন্ত্রী।

পুনঃশুনানিতে রাষ্ট্রের প্রধান আইন কর্মকর্তা হিসেবে অ্যাটর্নি জেনারেলকে অংশ না নেওয়ার পরামর্শও দিয়েছেন কামরুল।

‘একাত্তরের গণহত্যাকারীদের বিচারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র: সরকার, বিচার বিভাগ ও নাগরিক সমাজের করণীয়’ শীর্ষক এ আলোচনা সভায় মুক্তিযুদ্ধবিষয়কমন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক যুদ্ধাপরাধীদের সম্পত্তি বাজেয়াপ্তের জন্য আইন সংশোধনের প্রস্তাব করেন।

দৈনিক সংবাদ সম্পাদক খন্দকার মুনীরুজ্জামান, মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের ট্রাস্টি বোর্ড সদস্য মফিদুল হক, ঘাতক-দালাল নির্মূল কমিটির শাহরিয়ার কবির, মুনতাসীর মামুন, শ্যামলী নাসরীন চৌধুরী, ফেরদৌসী প্রিয়ভাষিণী সভায় বক্তব্য রাখেন।