মীর কাসেমের বিরুদ্ধে মামলা: বাদীসহ ৫ জনকে দুদকে তলব

mir_kashem+jugantor_3775

মানবতাবিরোধী অপরাধে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ইসলামী ব্যাংক ফাউন্ডেশনের সাবেক চেয়ারম্যান মীর কাসেম আলীসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাতের মামলা তদন্তে বাদী ও সাক্ষীসহ মোট ৫ জনকে তলব করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

মঙ্গলবার সংশ্লিষ্টদের ঠিকানায় তলবি নোটিশ পাঠান তদন্তকারী কর্মকর্তা ও দুদকের উপ-পরিচালক বেনজীর আহমেদ। নোটিশে তাদের আগামী ২২ ফেব্রুয়ারি বেলা ১১টায় দুদকের প্রধান কার্যালয়ে উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছে।

যাদের উপস্থিত হয়ে বক্তব্য দিতে বলা হয়েছে তারা হলেন, মামলার বাদী আশরাফুল হক এবং চার সাক্ষী আবুল কালাম আজাদ, আতিকুল ইসলাম, নূর-এ-ইসলাম উজ্জ্বল ও এস এম আলাউদ্দিন পরাগ।

ইসলামী ব্যাংক হাসপাতাল নির্মাণে গঠিত ১৪ সদস্যের কমিটির একজন হেরিটেজ এক্সপোর্ট কোম্পানি লিমিটেডের চেয়ারম্যান আশরাফুল হক মামলাটি দায়ের করেছিলেন।

গত ২০ জানুয়ারি ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতে ৯ জনের বিরুদ্ধে মামলাটি করেন তিনি। পরে মামলাটি তদন্তের জন্য দুদকে আসে।

মামলার আসামিরা হলেন, মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ইসলামী ব্যাংক ফাউন্ডেশনের সাবেক চেয়ারম্যান মীর কাসেম আলী, মাওলানা আব্দুস সোবহান, ইসলামী ব্যাংক ফাউন্ডেশনের বর্তমান চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার মোস্তফা আনোয়ার, ভাইস চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার ইস্কান্দার আলী খান, নির্বাহী পরিচালক মো. ফজলুর রহমান, মো. দাউদ, প্রশাসনিক কর্মকর্তা আব্দুল হাই, লুৎফুননেসা ও ড্রিম ভিউ ক্যাবল নেটওয়ার্কের চেয়ারম্যান মো. সুলতানউজ্জামান।

মামলায় বলা হয়, ২০০৭ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর দিগন্ত মিডিয়া নামক একটি কোম্পানি উন্মোচনের সময় আসামিদের সঙ্গে বাদীর পরিচয় হয়। তারই সূত্র ধরে ২০১০ সালে মীর কাসেম আলী তাকে ইসলামী ব্যাংক হাসপাতাল নির্মাণে প্রলুব্ধ করেন।

এরপর তাকেসহ ১৪ সদস্যের একটি কমিটিও গঠন করা হয়।

এরপর ফাউন্ডেশনের অধীন ইসলামী ব্যাংক হাসপাতালের জন্য জমি কেনার প্রস্তাব গৃহীত হয়। জমি কেনার জন্য ফাউন্ডেশন থেকে টাকা না দিয়ে মীর কাসেম আলী বাদীকে জমি কেনার জন্য টাকা দিতে প্রলুব্ধ করেন। বিনিময়ে তাকে হাসপাতালের শেয়ার দেওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়।

সে মোতাবেক বাদী আশরাফুল হক জমি কেনার জন্য ২ কোটি ৬০ লাখ টাকা প্রদান করেন।
মামলায় অভিযোগ করা হয়, জমি কেনার জন্য তার কাছ থেকে ২ কোটি ৬০ লাখ টাকা নেওয়া হলেও মাত্র ৫২ লাখ টাকায় জমি কিনে বাকি টাকা আত্মসাৎ করা হয়।

বিষয়টি তিনি জানার পর টাকার জন্য চাপ দিলে তাকে টাকার সমমূল্যের হাসপাতালের শেয়ার দেওয়া হবে বলে আশ্বস্ত করা হয়। কিন্তু তাকে শেয়ার দেওয়া হচ্ছে না।

বাদী অভিযোগ করেন, জমি কেনা নয়, তার টাকা আত্মসাৎ করাই ছিল আসামিদের উদ্দেশ্য।